আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে দেশের উত্তর (রংপুর ও রাজশাহী) এবং পশ্চিমাঞ্চলে (খুলনা) শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে এখন সারাদেশেই কুয়াশা পড়ছে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশায় দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। এই কুয়াশা পরিস্থিতিও আগামী কয়েক দিন দেশ জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আপাতত অপরিবর্তিত রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। একদিন আগে যা নওগাঁর বদলগাছীতে ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ (১২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা একদিন আগে ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বুধবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তিনি বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান শাহীনুল ইসলাম।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময় জুড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।