প্রচ্ছদ ব্যাংক-বিমা ব্যাংক খোলা থাকলেও গ্রাহকের উপস্থিতি খুবই কম কঠোর লকডাউনে

ব্যাংক খোলা থাকলেও গ্রাহকের উপস্থিতি খুবই কম কঠোর লকডাউনে

0

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক খোলা-বন্ধ’ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় লকডাউন শুরুর আগে গ্রাহকরা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ টাকা তুলেছেন। আর এ কারণেই এখন ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি নেই বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ খাতটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত থাকা উচিৎ ছিল আগে থেকেই। লকডাউনের আগে ব্যাংকখাতের শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) লেনদেনের সময় বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু দিনের শেষ দিকেই আরেক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ছাড়া অন্যদিনগুলোতে ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত, লেনদেন চলবে ১টা পর্যন্ত। তবে তার আগের কয়েকদিনে গ্রাহকদের টাকা তোলার চাপে নাকাল ব্যাংকাররা, উপেক্ষিত ছিল করোনা স্বাস্থ্যবিধি।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ব্যাংকপাড়া ঘুরে গ্রাহকের তেমন দেখা মেলেনি। দুয়েকজন এসেছেন পথে নানা ভোগান্তি পেরিয়ে। সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘লকডাউনের সময় ব্যাংক বন্ধ থাকার কথা শোনায় লকডাউন শুরুর দুয়েকদিন গ্রাহকরা তাদের লেনদেন সেরে ফেলেছে। যায় কারণে লকডাউনের আগে কয়েকদিন কয়েকগুণ বেশি লেনদেন হয়েছে। যার ফলে এখন ব্যাংকে গ্রাহকের চাপ কম।’ এদিকে পুরোপুরি কার্যকর হয়নি ব্যাংক কর্মীদের নিজস্ব পরিবহনে যাতায়াতের নির্দেশনাও।

এক ব্যাংকার বলেন, ‘ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছে কিন্তু আমাদের যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ঠিকমতো রিকশাও পাওয়া যায় না। রিকশা পাওয়া গেলেও পুলিশের বাধায় আর রিকশা নিয়ে আসা যায় না। আবার রিকশার সংখ্যা কম থাকায় ভাড়াও অনেক বেশি।’শিল্পকারখানা, জরুরি সেবা ও পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খোলা, তাই ব্যাংকের বিষয়ে সমন্বিত সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত থাকা উচিৎ ছিল বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ডা. সায়মা হক বিদিশা।

তিনি বলেন, ‘এই লকডাউনের বিষয়টি যেহেতু বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, অন্তত লকডাউন শুরু হওয়ার ৪-৫ দিন আগে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া। যাতে করে গ্রাহকরা তাদের কর্মপরিকল্পনা এবং ব্যাংকিং কার্যক্রমের ব্যাপারে এক ধরনের নিজস্ব পরিকল্পনা করে ফেলতে পারে।’ দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই কিলোমিটারে একটি ও জেলার প্রধান শাখা সপ্তাহে পাঁচদিন এবং উপজেলা পর্যায়ে একটি শাখা রবি, মঙ্গল বৃহস্পতিবার খোলা থাকছে।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version