প্রচ্ছদ বিশেষ খবর মগবাজারে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭

মগবাজারে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭

0

মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে আমরা যেটা জেনেছি, এখানে যে সরমা হাউজ ছিল। মূলত সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে খুব সম্ভবত গ্যাস জমেছিল এবং এই গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে আশেপাশের সাতটা বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুইটা বাস বিধ্বস্তের মতো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সাতজন মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি।’

এটা নাশকতা কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাশকতা না। নাশকতা হলে বোমা বিস্ফোরণ হতো। সেখানে স্প্লিন্টার পাওয়া যেত। স্প্লিন্টারের আঘাতে মানুষ ক্ষতবিক্ষত হতো। আশেপাশে আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত বাস দেখেছেন। বাসে কোনো স্প্লিন্টারের কণা পাওয়া যায়নি। অতএব নিশ্চিতভাবে বলা যায় বোমার কোনো ঘটনা এখানে নাই। গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

মগবাজারের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান দুজন। তারা হলেন- সুবহানা নামের নয় মাসের এক শিশু এবং অজ্ঞাতনামা (৪০) এক ব্যক্তি। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহ পরাণ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান জান্নাত (২২) নামের এক নারী। ঘটনাস্থলেই তার শিশুসন্তান তায়েবা (১) মারা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ খবর নিশ্চিত করেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সেখানে রাত সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বপন (৩৫) নামের একজন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।

তিনি আরও বলেন, দগ্ধ তিনজনের অবস্থা খুবই খারাপ। নাইনটি পারসেন্ট বার্ন। তাদের সম্পর্কে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। বাকি আহতরা যারা আছেন, তাদের কারও পা কাটা গেছে, কারও পা ভেঙে গেছে।

কী কারণে তারা দগ্ধ হয়েছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না।

মগবাজারের এ বিস্ফোরণের ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট এবং পাশের ঢাকা কমিউনিটি ক্লিনিক ও আদ্ব-দীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেবল ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগেই নেওয়া হয়েছে ৩৯ জনকে।

এর আগে রমনা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার ফয়সালুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণের কথা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঠিক কোথা থেকে বিস্ফোরণ ঘটল তা তাৎক্ষণিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণে ভবনটির নিচতলার ভেতরেই ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে আমরা মোট ছয়জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version