বিভিন্ন কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। পেঁয়াজ, রসুন, কিছু মসলা ও শাকসবজি খেলে; দাঁতের রোগ, যেমন- জিনজিভাইটিস, পেরিওডন্টিস হলে; ঠিকমতো ব্রাশ না করলে খাদ্যকণা জমা হয়। জমা হওয়া খাদ্যকণায় ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে প্লাক তৈরি করে। এ প্লাক দাঁতের রোগ তৈরি করে। পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও করে। লালা, মুখে জমা হওয়া খাদ্যকণা ব্যাকটেরিয়া মুখ থেকে বের করতে সহায়তা করে। লালা কম পরিমাণে তৈরি হলে দুর্গন্ধ হয়।
কিছু কিছু ওষুধ যেমন- উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ সেবনে লালা কমে যেতে পারে। লালাগ্রন্থির রোগেও কমে যেতে পারে লালার উৎপাদন। ধূমপান করলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। বিভিন্ন রোগ, যেমন- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, কিডনি ও যকৃৎ ফেইলিউর, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, সাইনুসাইটিস, শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, ক্লেফট প্যালেট ইত্যাদি রোগে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়-
– কমপক্ষে সকাল ও রাতের খাবারের পর ব্রাশ করুন।
– ব্রাশের উল্টো পিঠে খাঁজ কাটা থাকলে তা দিয়ে জিহ্বা ব্রাশ করুন।
– দিনে কমপক্ষে একবার ফ্লাস ব্যবহার করুন।
– আঁশযুক্ত খাবার খান।
– যে খাবারে মুখে দুর্গন্ধ হয়, সেগুলো পরিহার করুন।
– প্রচুর পানি পান করুন। কফি, কোমল পানীয়, অ্যালকোহল পান করবেন না।
– সুগার ছাড়া চুইংগাম ও ক্যান্ডি চাবান। এতে লালাগ্রন্থি থেকে বেশি পরিমাণে লালা তৈরি হবে।
– ৩-৪ মাস পর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।