প্রচ্ছদ বিশেষ খবর যুক্তরাজ্যে ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

যুক্তরাজ্যে ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

0
যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যে ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হু হু করে বাড়ছে খাদ্য ও জ্বালানির দাম। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির তীব্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির জনজীবনে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে পাঁচ দশমিক চার শতাংশে দাঁড়ায়। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর জানায়, ১৯৯২ সালের পর যা সর্বোচ্চ। সে সময় মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পরিবহণ, খাদ্য, বেভারেজ, আসবাবপত্র, হাউজিং ও গৃহস্থলীর পণ্যে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, শিগগিরই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম আরও বাড়তে পারে। চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেন, সব কিছুর দাম বাড়ায় মানুষ কিছু চাপের মুখে পড়েছে। তবে বিরোধী লেবার পার্টির দাবি, কর্মজীবী পরিবারগুলো আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি আর্থিক চাপে পড়েছে।

মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক চিত্র দেশটির সরকারের ওপর চাপ বাড়বে। আগেই ট্যাক্স বাড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রিটিশ সরকার। যা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথম বারের মতো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায় দেশটির নীতি নির্ধারকরা অতিরিক্ত চাপে পড়বে। ধারণা করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকটি সুদ হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়বে।

অন্যদিকে গত বছরের শেষের দিকে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহ বিপর্যয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এর ফলে ৪০ বছরে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় দেশটিতে।

তাছাড়া ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে তুরস্কও। ভোগ্য পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার পর আন্দোলনে নামে তুরস্কের সাধারণ মানুষ। তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের পদক্ষেপের পর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হয়।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version