মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহত রয়েছে করোনার তাণ্ডব। সুস্থ হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘরে ফিরতে পারলেও এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পৌনে ২৬ লাখ মার্কিনি। নতুন করে আরও প্রায় ৮শ জনের প্রাণহানি ঘটেছে সর্বোচ্চ ক্ষমতার দেশটিতে। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪৯ লাখের বেশি ভুক্তভোগী।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৩ হাজার ৬৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭৭ লাখ ২২ হাজার ৭৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৯০ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২২ জনে ঠেকেছে। যদিও সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থতা লাভ করেছেন ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার ৫৪৫ জন রোগী।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার প্রায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ২৬২ জনের। সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৬৬৪ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৭ লাখ ২০ হাজারের অধিক মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ১৪ হাজার ৭৯১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৫ লাখ ২ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ৩৩০ জন ভুক্তভোগী। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৭ হাজার ২২৯ জনের। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী প্রায় ৩ লাখ ৮ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ হাজার ৮৫ জন। অ্যারিজোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ২২ হাজার। যেখানে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৭১৩ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ২৬৮ জনের।
এ ছাড়া ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।