প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল রসুনে আছে জাদুকরী পুষ্টিগুণ, যেভাবে খাবেন

রসুনে আছে জাদুকরী পুষ্টিগুণ, যেভাবে খাবেন

0
রসুন

রসুনে আছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। রসুনকে মানুষ খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির উপকরণ হিসেবে হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে । বিস্ময়কর ঔষধি গুণ এবং সেই সঙ্গে খাদ্যে স্বাদ এবং ঘ্রাণ বৃদ্ধিতে রসুনের তুলনা খুব কম আছে! তবে মশলা হিসেবে ব্যবহার করার আগে এটি প্রাচীন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। চীনা, মিশরীয় এবং রোমান সভ্যতা রসুনের এই স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা জানত এবং ব্যবহার করত।

আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানও এর উপকারিতা স্বীকার করে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মাঝে এই মশলার ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

কী কী পুষ্টিগুণ থাকে রসুনে

রসুনে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, আন্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। এজন্যই রসুনকে ভিটামিন ও মিনারেলের ভান্ডার বলা হয়। শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত রসুন খেলে মিলবে জাদুকরী উপকার যেমন—
রক্তে শর্করার মাত্রা কমবে
রসুন দিয়ে চা বানিয়ে আপনি খেতে পারেন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শুধু তাই নয়, কোলেস্টেরলের মাত্রা দূর করতে পারে রসুন। এই চা বানাতে আপনাকে রসুন ভালোভাবে থেতলে নিতে হবে। তারপর এক কাপ বা দেড় কাপ জলে ভালোভাবে রসুনটা ফুটিয়ে নিতে হবে। তাতে দিয়ে দিতে হবে সামান্য চা পাতা আর দারচিনি দিয়ে তারপর গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। চাইলে এটিতে আপনি লেবুর রসও দিতে পারেন।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে

খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা শরীরে হু হু করে কমতে থাকবে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রক্তকে পাতলা রাখতেও সাহায্য করে। যদি রোজ সকালবেলা এক থেকে দুই কোয়া রসুন আপনি চিবিয়ে খান। তারপর রসুন খাওয়ার পর যদি অল্প পানি খেয়ে নেন, তাহলে কিন্তু আপনার রক্ত কখনই জমাট বাঁধবে না।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে
কাঁচা রসুনের পাশাপাশি আপনি ভাজা রসুন খেতে পারেন। এটিও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। তেল ছাড়া কড়াইতে রসুন হালকা করে ভেজে নিন। এটি যদি খান তাহলে আপনার খিদে বেশি পাবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণের থাকবে। রক্তে শর্করার মাত্রাও কিন্তু বেশি বাড়বে না। তাই আজ থেকে আপনি ডায়েটে যোগ করুন রসুন। যদি কোনও রোগে আপনি আক্রান্ত থাকেন তাহলে রসুন খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি

ফ্রি রেডিক্যাল বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এর এন্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। খাদ্যে এন্টিঅক্সিডেন্টের বর্ধিত পরিমাণ মস্তিষ্ককে বার্ধক্যের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারে।

এই কারণে এটি বিভিন্ন রকমের মস্তিষ্কের রোগ যেমন আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। অনেকক্ষেত্রেই এখন ডাক্তার ও পুষ্টিবিদগণ রোগীদের রসুন গ্রহণ করার পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version