সৌদি আরব থেকে অবৈধ শ্রমিকদের পাশাপাশি অনেক বৈধ শ্রমিকদেরও আটকের পর জোর করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১৬০ বাংলাদেশি শ্রমিককে। এ নিয়ে গত তিন দিনে দেশে ফিরলেন ৩৮৯ জন বাংলাদেশি কর্মী।
ফেরত আসা সিলেটের আবু বক্কর জানান, কাজের বৈধ অনুমোদন (আকামা) থাকা সত্ত্বেও সৌদি পুলিশ ধরে তাকে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। একইদিন ফেরত আসা চাঁদপুরের জামাল বলেন, সাড়ে ৪ হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা করেছি দুই মাস আগে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ আটক করে। এরপর দেশে পাঠিয়ে দেয়।
পটুয়াখালীর বায়েজিদ, মানিকগঞ্জের আবু সাইদ, মাদারীপুরের নাসিম, কুমিল্লার জামাল, মুন্সীগঞ্জের মিজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিপু সুলতান, মাদারীপুরের সিরাজ, কুষ্টিয়ার জহুরুলসহ ১৬০ বাংলাদেশির প্রায় সবাই একই অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ধরে জেলে পাঠানো হয়। জেলে কিছু দিন রাখার পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কিছু কর্মী অভিযোগ করেছেন নিয়োগকর্তারা নতুন করে আকামা নবায়ন করছে না। এক্ষেত্রে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসও কোনো সহযোগিতা করছে। তারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড়ো সমস্যা তৈরি হবে। উল্লেখ্য, গত নয় মাসে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফিরতে হয়েছে।