করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের ভিসার মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৌদি আরবে ফ্লাইট চালু হওয়ার পরেও ভিসা ও ইকামা (কাজের অনুমতিপত্র) জটিলতার কারণে ওই দেশে ঢোকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কারণ তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। নতুন এই নির্দেশের ফলে অনেকেই এখন সেখানে যেতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ইকামার মেয়াদ বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তাদের (কফিল) ওপর নির্ভর করছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাথে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে ভিসা, ইকামা ও ফ্লাইট সঙ্কটে মহামারীর কারণে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী জানান, মার্চ পর্যন্ত ২৫ হাজার বাংলাদেশীকে নতুন ভিসা ইস্যু করেছিল সৌদি আরব। ব্যবহার না করার কারণে ভিসাগুলো বাতিল হয়ে গেছে। তাদের সবাইকে নতুন করে ভিসা দেয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করতে হলে কফিলদের কাছ থেকে ছাড়পত্র লাগবে। অন্যথায় কেউ কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন না। তিনি বলেন, প্রবাসীদের রাস্তায় নামার কোনো কারণ নেই। যাদের পুরনো কফিল নিচ্ছে না, তারা নতুন কফিল খুঁজতে পারেন। এখন পর্যন্ত ছয় হাজার প্রবাসী সৌদি আরব গেছেন। তারা কফিলের অনুমতি নিয়েই গেছেন।
আটকে পড়া সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ইকামা নিয়োগদাতারা নবায়ন না করলে বাংলাদেশ সরকারের কিছু করার নেই বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, মালিক যদি চাকরি না দেয় তবে কী করার আছে। সরকার তো কারো চাকরি দিতে পারে না। তাদের নতুন চাকরি খুঁজতে হবে। যেহেতু তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাদের বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা না।