স্মার্টফোনের ব্যবহার এখন অনেক বেশি প্রযুক্তির উন্নতি আর সহজলভ্যতার কারণে। প্রায় সব বয়সী মানুষেরই প্রথম পছন্দ স্মার্টফোন। কেননা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পুরো দুনিয়ার খবর পাবেন এক ক্লিকেই। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আমরা প্রয়োজন এবং অপ্রয়োজনে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে কাটিয়ে দেই।
এর কারণে স্মার্টফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। অনেকেই আছেন চার্জে দিয়েই গেম খেলতে থাকেন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডুবে যান। এতে কিন্তু ফোনের ব্যাটারি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত স্মার্টফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়। এর আরও কিছু কারণ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে দীর্ঘদিন স্মার্টফোনের ব্যাটারি ভালো রাখতে পারবেন-
> অনেকেই আছেন সারাদিন ফোন চার্জে লাগিয়ে রাখেন। হয়তো ব্যাটারি ১০০ ভাগ চার্জই আছে। তারপরও এই কাজটি করেন। যা ব্যাটারির জন্য খুবই ক্ষতিকর।
> যে কোনো স্মার্টফোনে সম্পূর্ণ ১০০ ভাগ চার্জ না দিয়ে, ৯০ ভাগ থেকে ৯৫ ভাগ পর্যন্ত চার্জ দিলে, মোবাইল ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে সপ্তাহে ১ বার শতভাগ চার্জ করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে ‘ব্যাটারি রিক্যালিব্রেট’ হবে।
> সাধারণত আমাদের ফোনে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থাকে। এই ব্যাটারিগুলো সবচেয়ে ভালো কাজ করে যখন এতে ৩০ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত চার্জ থাকে।
> সারাদিন ব্যস্ত থাকার কারণে অনেকেই স্মার্টফোনটিকে চার্জ দেওয়ার সময় পান না। তারা অনেকেই স্মার্টফোনটি চার্জে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। এই কাজটি একেবারেই করবেন না। এতে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে। অনেকসময় গরম হয়।
> এছাড়াও স্মার্টফোন যখন চার্জে দেওয়া হয় তখন সেটা কখনই ব্যবহার করবেন না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্মার্টফোন চার্জে দিয়ে গেম খেলার সময় মোবাইলের ডিসপ্লে, প্রসেসর এবং অন্যান্য অংশতে, ব্যাটারি থেকেই পাওয়ার ব্যবহার হতে থাকে।
> মনে রাখবেন, যখন মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ ২০ ভাগ থেকে কম থাকলে তা পুরো ডিভাইসটিকে দুর্বল করে দেয়। দিনের পর দিন ২০ ভাগের নিচে চার্জ থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করলে তা স্মার্টফোনটির আয়ু কমিয়ে দেয়। একারণে ২০ ভাগের কম চার্জ হওয়ার আগেই ফোন চার্জে লাগাতে হবে।
> স্মার্টফোনের জন্য সবসময় ভালো চার্জার ব্যবহার করুন। অনেক সময় স্মার্টফোনের সঙ্গে খুব একটা ভালো চার্জার দেওয়া থাকে না। তাই একটু দামি হলেও দেখেশুনে আসল চার্জার কিনুন। এতে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু থাকবে অনেকদিন পর্যন্ত।