প্রচ্ছদ ব্যাংক-বিমা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী আওফি ফেলোজ ফোরামের ৪র্থ ইসলামি অর্থায়ন সম্মেলন

বাংলাদেশী আওফি ফেলোজ ফোরামের ৪র্থ ইসলামি অর্থায়ন সম্মেলন

0
বাংলাদেশী আওফি ফেলোজ ফোরাম

বাহরাইন ভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিং ও অর্থায়ন বিষয়ক মানদন্ড প্রণয়নকারী সংস্থা ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন-আওফি’র ফেলোদের সংগঠন বাংলাদেশী আওফি ফেলোজ ফোরাম (বাফ)-এর চতুর্থ ইসলামি অর্থায়ন সম্মেলন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শনিবার মিরপুরের বিআইবিএম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম-এর চেয়ার প্রফেসর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল । বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন আব্দুল্লাহ জাফরী । এতে ‘বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের ৫ম দশকে পদার্পন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ‘ইসলামী অর্থায়নের ঝুঁকি শেয়ারিং দর্শনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা উপস্থাপনা করেন মালয়েশিয়ার ইনসেফ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. ওবাইয়্যাতুল্লাহ ইসমাত বাছা ।

বাফ সভাপতি ও বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: মোহাব্বত হোসাইন সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মেলনের আহবায়ক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম মীজানুর রহমান। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বাংলাদেশে আওফির ৪৪৩ জন ফেলোসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মোট ৫০০ জন ইসলামিক ব্যাংকিং ও অর্থায়ন বিশেষজ্ঞ, রেগুলেটর, শরীআহ স্কলার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন । এ ছাড়া সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়নের উপর রচিত ‘বাংলাদেশে সুদমুক্ত ব্যাংকিং এবং এম. আযীযুল হক’, ‘সুকূক : স্ট্রাকচারিং অ্যান্ড গভর্নেন্স’ এবং ‘সুদ: সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক তিনটি মৌলিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ ছাড়া বাফ ও আইবসিএফ’র ওয়েব সাইট উদ্বোধন করা হয়।

সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিআইবএম‘র এমেরিটাস ফেলো ফজলে কবির। এ সময় গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন আল-আরাফা্হ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়াম্যান আলহাজ আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার এবং সাবেক ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খান । বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়রা আজম ।

দিনব্যাপী সম্মেলনে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক অধিবেশনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীগণের প্যানেল আলোচনায় মোট ৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ‘বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং ও অর্থায়ন: ইতিহাসের পাতা ফিরে দেখা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ওআইসি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাম্বাসাডর মোহাম্মদ মহসীন, এবং ‘ইসলামি ব্যাংকিংয়ের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএম‘র অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব । আরো প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মুহাম্মদ কবির হাসান, এ.কে.এম মিজানুর রহমান, মোঃ আতিকুর রহমান খান খাদেম, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম ও মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
বাংলাদেশে ইসলামী অর্থায়ন ও ব্যাংকিং বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা, শরীআহ্ গভর্নেন্স বাস্তবায়নসহ ইসলামী অর্থায়ন ও ব্যাংকিং খাতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০২৪ সালে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে মোট ৭ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে নতুন প্রবর্তিত ‘বাফ শরীআহ্ স্কলার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ লাভ করেন সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন আব্দুল্লাহ জাফরী ।

প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে ‘বাফ শাহ আব্দুল হান্নান অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অর্জন করে ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ), ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে ‘বাফ এম আযীযুল হক অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অর্জন করেন আব্দুল আউয়াল সরকার, ফেলোদের মধ্য থেকে ২০২৪ সালে ৫ জন বাফ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আমীর হোসাইন, আইএফএ কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল হোসাইন এফসিএ, ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির হেড অব রিসার্চ মোঃ আতিকুর রহমান খান খাদেম এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ফেরদৌস।

বাফ মূলতঃ বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং ও অর্থায়ন খাতে নেতৃত্বদানকারী ও কর্মরত পেশাজীবীদের একটি নলেজ শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- এ খাতের নীতিনির্ধারক ও পেশাজীবীদের জ্ঞানগত ভিত্তি সমৃদ্ধ করা এবং পারস্পারিক জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতকে সমৃদ্ধ ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version