প্রচ্ছদ শিল্প বানিজ্য আমদানী-রপ্তানি বীমা ছাড়া বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য খালাস আর নয়

বীমা ছাড়া বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য খালাস আর নয়

0

আমদানি পণ্যের বিপরীতে বীমা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছিলেন না সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। পলিসি ইস্যু না করে শুধু কাভার নোট দেখিয়েই পণ্য খালাস করছিলেন। তবে এই সুযোগ আর থাকছে না। এখন থেকে  বীমা পলিসি ছাড়া কোনো পণ্য খালাস করতে পারবেন না সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি নির্দেশনাও জারি করেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) এনবিআরকে চিঠি দেয়। এতে বলা হয়, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা বীমা পলিসি ইস্যু করছেন না। শুধু কাভার নোট দিয়েই পণ্য খালাস করে নিচ্ছেন। আর বীমা পলিসি না করার কারণে সরকারও এ থেকে নির্ধারিত রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে।

জানা গেছে, এলসি খোলার সময় বীমা কম্পানির একটি নির্ধারিত ফরমে আমদানি করা পণ্যের সব তথ্য প্রদান করতে হয়, যা বীমা কম্পানিগুলো সরবরাহ করে থাকে। এটি কাভার নোট হিসেবে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে এই কাভার নোট দিয়েই বীমা করার কথা। কিন্তু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা বীমা কম্পানি থেকে কাভার নোটটি নিলেও বীমা করছিলেন না। আবার পণ্য খালাসের সময় কাভার নোট দেখিয়েই পণ্যগুলো খালাস করে নেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর বন্দরগুলোতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশনা প্রদান করেছে। তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, বীমা পলিসি ছাড়া কাভার নোটের বিপরীতে কেউ যাতে পণ্য খালাস না করতে পারে, বিষয়টিতে যথাযথভাবে নজরদারি করতে হবে।

জানা গেছে, বীমা কম্পানিগুলো ১৫ শতাংশ কমিশনের জায়গায় ৭০-৮০ শতাংশ কমিশন প্রদান করত। আইডিআরএ চাইছে বীমা কম্পানিগুলো যেন কোনোভাবেই বাড়তি কমিশন দিতে না পারে। একই সঙ্গে পলিসি ছাড়া যেন কোনো পণ্য খালাস না হয়। এ কারণে বিষয়টির নজরদারিতে এনবিআরকে নৌ, স্থল ও বিমানবন্দরগুলোতে নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version