প্রচ্ছদ শিল্প বানিজ্য অর্থনীতি ২০৪১ সালের মধ্যে ’বাংলাদেশ’ বিশ্বের শীর্ষ বিশ দেশের একটি হবে: অর্থমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে ’বাংলাদেশ’ বিশ্বের শীর্ষ বিশ দেশের একটি হবে: অর্থমন্ত্রী

0

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের শীর্ষ বিশ রাষ্ট্রের একটি হবে বলে বলেছেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। গতকাল শনিবার রাজধানীর হাতিরঝিলের অ্যাম্পিথিয়েটারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের আগাম উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, জাতির পিতা এক ক্ষণজন্মা মানুষ। এমন মানুষ সব সময় আসেন না। তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা। দিয়েছেন আত্মপরিচয়ের ঠিকানা স্বাধীন বাংলাদেশ। তার চিন্তায় ছিল স্বাধীন দেশে শহর ও গ্রামের মাঝে তফাত থাকবে না। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না। আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে দেখি, সব কাজের রূপরেখা তৈরি করে রেখে গেছেন তিনি। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে উঠে দাঁড়ানোর সকল পরিকল্পনা করেছিলেন। আমরা হারিয়েছি সেই জাতির পিতাকে। পিতার উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার একটাই লক্ষ্য, জাতির পিতা যে সোনার বাংলার লক্ষ্য আমাদের সামনে রেখে গিয়েছিলেন অসমাপ্ত কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হওয়া মুজিববর্ষের এই অগ্রিম আয়োজন চলে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত। উজ্জ্বল আলোর ঝলকানিতে ঝলমল করে উঠেছিল ঢাকার রাতের আকাশ। রঙিন আতশবাজি, গান নাচের বর্ণিল উপস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে ফুটে উঠল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রার বিবরণ।

বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে রূপরেখা মেলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এদিন ঢাকার পাশাপাশি শোভাযাত্রা, আলোচনাসহ নানা আয়োজনে সারা দেশের ৪৯১ উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের প্রারম্ভিক উদ্যাপন হয়। হাতিরঝিলের অনুষ্ঠানটি এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে এসব উপজেলায় দর্শকদের দেখার ব্যবস্থা করা হয়। আর রাত নয়টার দিকে ঢাকার আকাশের মতোই উপজেলাগুলোর আকাশও রঙিন হয়েছে আতশবাজিতে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ। প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গানের সুরে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এছাড়াও নজরুল সংগীত শিল্পী সুজিত মুস্তাফা, ফাহমিদা নবী, হূদয় খান, আরেফিন রুমি ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের সুরে নয়ন জুড়ানো নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যা সিনহা মীম। ফাহমিদা নবী গেয়েছেন ‘এই পতাকা আমার শত বাঙালির একটি রূপকার’। চমত্কার দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শোনান হূদয় খান, আরেফিন রুমি। শত শিল্পীকে সঙ্গী করে ‘তাপস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ এর পরিবেশনা সকলকে মুগ্ধ করে।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version