প্রচ্ছদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

0
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আজ জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বরাদ্দের ঘোষণা দেন। অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭২৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কোভিড-১৯ এর কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কম রাখার কথা জানিয়েছিল অর্থ বিভাগ। কিন্তু বরাদ্দ কম রাখা হলে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বিঘ্নিত হবে- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ থেকে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়। পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের প্রত্যাশা অনুযায়ী বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বিভাগের প্রস্তাবিত ৩৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের পুরোটা এবারও পাওয়া যায়নি। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, দেশের ৯৯ ভাগ মানুষের ঘরে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। সরকার এই সেবাকে আরো মানসম্মত করতে উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণ লাইন সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় জানানো হয়, এখন দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ এই উৎপাদনের পরিমাণ ২০০৯ সালের তুলনায় পাঁচগুণ। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দেশে ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াটের ৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আরো ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াটের ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি সই করা হয়েছে। এছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াটের আরো ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এসব প্রকল্পের বাইরেও ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াটের ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, রাপমাল ১৩২০ মেগাওয়াট এবং মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শেষ হয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে এখন দেশে ৭২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে ২৮ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং ৬ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ করবে। দেশে এখন দৈনিক ২৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের চাহিদার বাকিটা এলএনজি আমদানি করে মেটানো হচ্ছে। দেশে দুটি ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। সরকার প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির জন্য একটি স্থায়ী এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version