প্রচ্ছদ বিশেষ খবর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসরের পর্দা উঠছে কাল

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসরের পর্দা উঠছে কাল

0
বাণিজ্য মেলা

ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) ২৬তম আসরের পর্দা উঠছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) পূর্বাচল নতুন শহরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী চলবে এ মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করবেন।

শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। মেলার এক্সিবিশন সেন্টারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে পণ্য উন্নয়ন ও পণ্যের বাজার সৃষ্টি। আর পণ্যের বাজার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন ও মেলায় অংশগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাণিজ্যমেলার নবনির্মিত এই স্থায়ী ভেন্যুতে এবারের মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক নতুন অধ্যায়।

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল হতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ী কমপ্লেক্সে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এতে আরও জানানো হয়, অন্যান্য বছরের মতো মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ টাকা, শিশুদের ২০ টাকা।

এবার মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কারপেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।

বাণিজ্যমেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার (প্রায় ১,৫৫,০০০ বর্গফুট) আয়তনের দুটি হলে (Hall-A ও Hall-B) সব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।

এদিকে দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও ইউরোপসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশে আবারও নতুনভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ কিছুটা কম। মেলা চলাকালীন যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version