করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও তিন জনের দেহে । এ নিয়ে দেশে ওমিক্রনের মোট সাতজনগী রো ধরা পড়ল, যে ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
তিন কোভিড রোগীর শরীর থেকে পাওয়া ভাইরাসের জিন বিন্যাস বিশ্লেষণ করে ওমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সেখানে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন শনাক্ত তিনজন রাজধানীর বনানী এলাকার বাসিন্দা। তাদের দুজন নারী, একজন পুরুষ। নারীদের একজনের বয়স ৩০ বছর, আরেকজনের ৪৭। আর ওমিক্রন শনাক্ত পুরুষের বয়স ৮৪ বছর।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর ওই তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। ২৩ ডিসেম্বর তাদের নমুনা সংগ্রহের পর কোভিড শনাক্ত হয়। পরে জিনোম সিকোয়েন্স বের করে জানা যায়, করোনাভাইরাসের ওই ধরনটি ওমিক্রন।
এর আগে মঙ্গলবার আরও একজনের ক্ষেত্রে ওমিক্রনের সংক্রমণের তথ্য দেওয়া হয়েছিল জিআইএসএআইডি ওয়েবসাইটে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার শরীর থেকে পাওয়া ভাইরাসের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
আর সোমবার ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ (আইদেশি) ওমিক্রনে আক্রান্ত আরেকজনের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স জিআইএসএআইডিতে প্রকাশ করে। তিনি একজন নারী। সোম ও মঙ্গলবার যে দুজনের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তারা দুজনেই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা।
এর আগে জিম্বাবুয়েফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের মধ্যে প্রথম ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল।
সরকারি প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর মঙ্গলবার বলেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি বিদেশফেরত হলে আমরা জিনোম সিকোয়েন্সিং করি। এগুলো সে ধরনেরই স্যাম্পল। তারা করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার পর স্যাম্পল নিয়ে সিকোয়েন্স করা হয়েছিল।
“একটা সিকোয়েন্সিং করেছে আইসিডিডিআরবি আরেকটা আইদেশি করেছিল। আমরা জিনোম সিকোয়েন্সিং পেলে জিআইএসএআইডিতে আপলোড করে দিচ্ছি।”