করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত একদিনে সেখানে পৌনে ১ লাখের বেশি মানুষের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণহানি ঘটেছে আরও হাজারের বেশি ভুক্তভোগীর। পক্ষান্তরে সুস্থতা বাড়লেও সংক্রমণের তুলনায় তা অনেক কম।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ হাজার ৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৩৯ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪৪ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। এতে করে সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে ৫৮ লাখ ৭৮ হাজার ছুঁই ছুঁই।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
এর মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৮ হাজার ১৯২ জনের। ক্যালিফোর্নিয়ায়ও সংক্রমিতের সংখ্যা ৯ লাখ ১৭ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৪৭৮ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৭ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি। ইতোমধ্যে সেখানে ১৬ হাজার ৫১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৫ লাখ সাড়ে ৩৫ হাজার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ৬শ’ জন ভুক্তভোগী। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৩ লাখ ৮৮ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ হাজার ৮৩৮ জন। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৭ হাজার ৮৪৪ জনের।
অ্যারিজোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৪০ হাজার পেরিয়েছে। যেখানে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৮৯১ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৪৩৯ জনের।
এ ছাড়া ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, , লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।
