প্রাণঘাতীি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ১৮৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৭২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জন।
শনিবার (১০ জুলাই), করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৯ জুলাই) অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই দিন ১১ হাজার ৩২৪ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়ার তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৬ হাজার ২৩১টি। আর দেশের মোট ৬১৩টি ল্যাবে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮৪টি। এর মধ্যে ৮,৭৭২ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১.৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪.৫৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭০ জন ও খুলনা বিভাগে ৫১ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮৫ জনের মধ্যে ১২১ জন পুরুষ ও ৬৪ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৬০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করা ১৬ হাজার ১৮৯ জনের মধ্যে ১১ হাজার ৩৭৫ জন পুরুষ ও ৪,৮১৪ জন নারী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৫ হাজার ৭৫৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬.০১ শতাংশ। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় মৃত্যুর হার শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়ার পর অনেকটাই কমে এসেছিলো সে হার। তবে, দেশে করোনায় ২য় ঢেউয়ে আবারো বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ হার ও মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে আবরো দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।