নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এ বছর দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আস্তে আস্তে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকবে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রয়ারি পর্যন্ত শীতকাল হিসেবে ধরা হয়।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন “দেশের উত্তর-পশ্চিমে একটা উচ্চ চাপ বলয় বিরাজমান করছে এখন। এই উচ্চ চাপ বলয় বঙ্গপোসাগরের জলীয় বাষ্পকে দক্ষিণের দিকে ঠেলে দেবে। ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকবে। সেই তাপমাত্রাটা গড়ে ১৮ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করবে অঞ্চলভেদে। সেই হিসেবে নভেম্বরে এই তাপমাত্রা থাকবে। যেটা শীতকালে সাধারণত গড় তাপমাত্রা থাকে”।
তবে প্রথম শৈত্যপ্রবাহটি ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই হবে বলে জানাচ্ছেন মি. মল্লিক। এটি হবে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ একটি তীর্ব্র শৈত্যপ্রবাহ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মি. মল্লিক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে শৈত্যপ্রবাহের সংখ্যা কমে গেছে। তীব্র এবং মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সময়সীমাটাও কমে আসছে।
তবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ যেগুলো হচ্ছে, সেটি দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেন এই আবহাওয়াবিদ। এসব শৈত্যপ্রবাহ দশ দিন থেকে শুরু করে একুশ দিন পর্যন্ত থাকছে।
আবহাওয়ার অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, নেত্রকোনা ,যশোর ,কুষ্টিয়া কখনো কখনো রাঙ্গামাটি অঞ্চলে এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হবে এবার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ক্যাটাগরিতে শৈত্যপ্রবাহ
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস-মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস-মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস-তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে-অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ