শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

অবৈধ মোবাইল শনাক্তের কাজ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে

প্রকাশঃ

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণের কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে। এজন্য শুরুতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে এক মাস সময় দেয়া হলেও এখন তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। কাজটি অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ তাই নির্ভুলভাবে শেষ করতেই এটি করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা এসব মোবাইল সেট পরে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বিটিআরসি। এতে মোবাইল গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। অবৈধ মোবাইল সেট বৈধ করার সময় পাবেন সবাই। এখনই কারও মোবাইল সেট নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করা হবে না। নিবন্ধিত বৈধ মোবাইল সেট হারিয়ে গেলে তা নিষ্ক্রিয় করা যাবে।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রতিটি মোবাইল সেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর আছে, যা মোবাইলটির আইডেন্টিফিকেশন টেক। মোবাইল যখন আমদানি করে তখন আমরা নম্বরসহ এর অনুমতি দেই। যারা বাংলাদেশে প্রোডাকশন করে সেটারও অনুমোদন দেয়া হয় নম্বরসহ। এর বাইরে কিছু মোবাইল স্মাগলিং হয়। বিদেশ থেকে যে কেউ দুটি মোবাইল আনতে পারেন। আবার কেউ কেউ ট্যাক্স দিয়েও নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, ‘এরপর দেখতে পাচ্ছি, বেআইনি মোবাইল সেট আমদানি বা চোরাচালান অব্যাহত আছে। এটার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আমাদের এখানে যারা বৈধ ব্যবসা করেন এবং লোকাল ম্যানুফ্যাকচাররা প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু আমরা এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করেছি। এই সিস্টেম ডেভেলপ করার পর যেসব মোবাইল নিবন্ধিত হয়নি সেগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য বলেছিলাম। এ ব্যাপারে বলেছি, সিম দিয়ে যেসব মোবাইল চালু আছে সেগুলোর নিবন্ধন দেয়ার জন্য। বৈধ-অবৈধ সেগুলো আমরা যাচাই করিনি।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রায় ১৭ কোটি সিম আর ১০ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্ত করা খুবই ডিফিকাল্ট কাজ ছিল। ৩০ জুলাই পর্যন্ত একটা ডেডলাইন দিয়েছিলাম। এই বিশাল ডাটাবেজের কাজটি শেষ করার জন্য অপারেটররা কিছুটা সময় চেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হোমওয়ার্ক করব, যাতে কোনো রকমের জটিলতা না পাই। একটা বিষয়ে সতর্ক থাকতে চাই। সাধারণ মানুষের যেন কোনো রকমের কষ্ট না হয় সেটা নিশ্চিত করব। কারণ সাধারণ মানুষ তো এত সব জেনে বুঝে মোবাইল কেনে না এবং এটা তার অপরাধ নয়।  এ বিষয়গুলো মূল্যায়ন করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা একটা জায়গায় যেতে পারবো।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা সফটওয়ারটা এমনভাবে তৈরি করেছি যে ঘরে বসেই যেসব মোবাইল সেট অনিবন্ধিত পাব সেগুলোকে বন্ধ করে দিতে পারব। এ ক্ষমতা যেহেতু আমাদের আছে সেহেতু এ স্টেপটা আমরা যেকোনো সময় নিতে পারবো। একই সাথে ওই দক্ষতা অর্জন করতে হবে যে, আমি বন্ধ করে দিলাম তারপর কমপ্লেইন আসলো যে মোবাইলটা সে গিফট আকারে পেয়েছিল কিংবা বিভিন্নভাবে পেয়েছে। ওগুলোর সমাধানও যেন আমরা করতে পারি সেজন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর এটার অ্যাকশন দেখতে পাবেন।’

বিটিআরসির কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ জুড়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ কোটি হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। যার ৪০ শতাংশই অবৈধভাবে বাজারে প্রবেশ করেছে বা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। আমরা এসব শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ