অ্যালোভেরা ত্বকের যত্ন নিতে অত্যন্ত উপযোগী। ক্যাকটাস জাতীয় এই গাছের পাতা চিরলেই থকথকে জেলির মতো উপাদান দেখতে পাওয়া যাবে। এই উপাদান অনেকে ত্বকে মাখেন, আবার তার জুস বানিয়েও খান অনেকে। কী আছে অ্যালোভেরার মধ্যে ? মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্লাস্টিক সার্জেন জোয়েল স্লেশিঙ্গার বলছেন, অ্যালো ভেরা গাছের কাণ্ড জল সংরক্ষণ করতে সক্ষম যার ফলে পাতার মধ্যে ওই জেলির মতো বস্তুটি উৎপন্ন হয়। ওর মধ্যে আছে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, খনিজ পদার্থ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। এই উপাদানগুলোর প্রভাবেই যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন চর্মরোগের ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এই উদ্ভিদ।
আসুন দেখে নেওয়া যাক ত্বকের কোন কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে অ্যালোভেরা।
১) তীব্র রোদ্দুরে বেরলে ত্বকের ক্ষতি হয়। অ্যালো ভেরা জেলের মধ্যে আছে পলিস্যাকারাইডস নামক এক বস্তু যা রোদে পোড়া ত্বককে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। কার্বক্সিপেপটিডেস নামক আর একটি উপাদান ব্যথা উপশমে কাজ দেয়।
২) সোরিয়াসিস, একজিমার মতো চর্মরোগের উপশমে দারুণ কাজ করে অ্যালোভেরা জেল। কারণ এর মধ্যে আছে এসম্যানান নামক এক যৌগ যা ক্ষতিকর এনজাইমদের দূর করে।
৩) শুকনো ত্বককে আর্দ্র রাখতে অ্যালোভেরা জেলের জুড়ি নেই। আগেই বলা হয়েছে, অ্যালোভেরা জেলের মূল উপাদানটাই হল জল। এর সঙ্গে এর আঠালো ভাব চামড়ার সবথেকে উপরিভাগকে ধরে রাখে, ফাটতে দেয় না। ফলে ত্বক হয় কোমল।
৪) অ্যাকনি রোগ যার ফলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস-এর মতো সমস্যা হয় তাতেও কাজে দেয় এই জেল। ব্রন সারাতেও অ্যালোভেরা জেলের জুড়ি নেই।
৫) এই জেল অ্যান্টিসেপটিক। এর উপাদান ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
৬) মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ কেনেথ মার্ক বলছেন, অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে ত্বকের ফাইব্রোব্লাস্ট বাড়ে যার ফলে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এই কোলাজেনের প্রভাবেই চামড়া কুঁচকে যাওয়া কমে। এর ফলে বেশি বয়স অবধি নরম টানটান ত্বক পেতে পারেন।