দেশে দোকান, হোটেল শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে আজ থেকে কর্মজীবী মানুষকে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিন ৪ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা কার্যক্রম আগামী ১০ দিন চলবে।
এ ছাড়া ঢাকা শহরকে নয়টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে টিকা পাবেন ঢাকা শহরের পাঁচ লাখ কর্মজীবী , শ্রমিক, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ফুটপাতের হকার। পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই শ্রেণির মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। পরে চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য জোনে টিকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বাস্তবায়নে এই কর্মসূচিতে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও কোকাকোলা ফাউন্ডেশন।
এর আগে গেল ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ভাসমান জনগোষ্ঠিকে টিকা দেয়া হয়। রাজধানীর মিরপুরের একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে টিকার আওতায় আসছে দেশের কওমি মাদ্রাসার প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু বেড়েছে
এ ছাড়া সারা দেশে ছয় লাখ ভাসমান মানুষকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ঢাকায় ২ লাখ ৮৫ হাজার এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ টিকার আওতায় আসবে। ভাসমান জনগোষ্ঠীর নির্ধারিত কোনো ঠিকানা নেই। এ কারণে তাদের এক ডোজের জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেয়া হবে।