ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর দুই দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন ১২ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হয়েছে। ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: নাজমুল হাসান, পিএইচডি প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো: মাহবুব উল আলম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. জিল্লুর রহমান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শহিদুল আলম, হেলাল আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, এফসিএ, মো: সাইফুল ইসলাম, এফসিএ, এফসিএমএ, মো. জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল করিম, সৈয়দ আবু আসাদ ও মো: কামরুল হাসান। আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরীআহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। অনুষ্ঠানে এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, প্রধান কার্যালয়ের উর্ধ্বতন নির্বাহী, জোনপ্রধান ও ৩৪২ টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ অংশ নেন।
সম্মেলনে জানানো হয় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ৭ শত ৯০ কোটি টাকা বেশি। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা এবং গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ। ২০১৮ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৩৯ হাজার ৯৮২ কোটি, ২৫ হাজার ১৫৯ কোটি এবং ২৭ হাজার ৫২১ কোটি টাকা।
চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: নাজমুল হাসান, পিএইচডি প্রধান অতিথির ভাষণে ২০১৮ সালে ব্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ব্যাংকের অগ্রগতিকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করতে অভ্যন্তরীণ গবেষনা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। আগামী দিনের অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সেক্টরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি তরুণ নেতৃত্বকে আরো বেশি সুযোগ দেয়ার আহবান জানান। ইসলামী ব্যাংকের প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যাংকিং সেবা জনপ্রিয় করতে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
ম্যানেজিং ডাইরেক্টর প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উল আলম সভাপতির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক বিগত বছর সমূহের ধারাবাহিকতায় এ বছরও ব্যবসায়িক সকল সূচকে প্রথম স্থানের শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে পরিচালিত উন্নয়ন বান্ধব সরকারের সার্বিক সহযোগীতা ও সমর্থন ইসলামী ব্যাংকের সামগ্রিক সাফল্যে বিশেষ ভুমিকা রেখেছে। তাঁর নেতৃত্বে রুপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ পূরণে ইসলামী ব্যাংক অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে ইসলামী ব্যাংক ৩০৫ টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট খুলেছে। গত বছরও পর পর ৭ম বারের মতো বিশ্বব্যাপী এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় ইসলামী ব্যাংক স্থান ধরে রাখায় বক্তারা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিটেইল ইসলামিক ব্যাংক, দেশের সেরা করদাতা, বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ইসলামী ব্যাংক ইন বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, সাফা অ্যাওয়ার্ড প্রমাণ করে ইসলামী ব্যাংক দেশের সকল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নিয়মনীতি পরিপালন কারী ব্যাংক। বক্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংকে সুশাসন বিরাজমান যা সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিপালন সংস্কৃতির মডেল হিসেবে কাজ করছে।