ওমিক্রন এর এই অবস্থাতে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম এখন যে অবস্থায় আছে, আমরা সে অবস্থায় রাখতে বলেছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস নেওয়ার দিন যাতে না বাড়ানো হয় এ ব্যাপারে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ এর চোখ রাঙানি থাকলেও বর্তমান অবস্থার মতোই চলবে শিক্ষা কার্যক্রম। ক্লাস নেওয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, একইসঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পরীক্ষা।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওমিক্রন মোকাবিলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২ ডিসেম্বর। এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছি কি না- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো তো ওমিক্রন দেশে আসেনি, ছড়ায়ওনি। এখনো তো জীবনযাত্রা মোটামুটি স্বাভাবিক। পরীক্ষা চলবে। যেখানে সতর্ক হওয়া দরকার, আমরা সতর্কতা অবলম্বন করবো এবং সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলছে। কিন্তু আমরা যে রকম আশা করেছিলাম, সেই পর্যায়ে আমরা যেতে পারিনি। ৭/৮ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য ছিল আরও বেশি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এটা বাড়ানো যায়। আমরা তো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি- নির্বাচন চলবে, তবে সবকিছু যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হয়। সভা-সমাবেশ যাতে সীমিত পরিসরে করা হয়। এখনো তো আমরা ভাল আছি। তবে আমরা সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিজয় দিবস সামনে রেখে সরকার বড় ধরনের সমাবেশ করবে, কিন্তু আপানারা সভা-সমাবেশ কমিয়ে আনার কথা বলছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন তো গত সাতদিনের বিষয়। এসব অনুষ্ঠানগুলো বহু আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া, বছরব্যাপী প্রস্তুতি ছিল। আমরা এখানে অনুরোধ করবো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে করা হয়। আর ওমিক্রন যদি দেখা না দেয়, তাহলে তো সুন্দরভাবেই সবকিছু করতে পারবে।