ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগ সামাল দিতে বহু দেশ নিজেদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ফিরতে যাওয়া যাত্রীদের নামের তালিকা আগেভাগে হস্তান্তর করতে বিমান সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ২৪টি দেশে পৌঁছেছে। এতে আক্রান্তরা মৃদু থেকে তীব্র অসুস্থতায় ভুগছেন।
প্রাথমিক ইঙ্গিতে বোঝা যাচ্ছে, অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে ওমিক্রন বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে। ডব্লিউএইচও’র মহামারিবিদ মারিয়া ভান কেরকোভ জানিয়েছেন, ওমিক্রন কতোটা সংক্রামক সেই সম্পর্কিত তথ্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
সর্বশেষ যে কয়েকটি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘানা, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র।
ওমিক্রন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ওপর জোর দিলেও এর সমালোচনা করছে ডব্লিউএইচও। জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটির জরুরি পরিচালক মাইক রায়ান বলেছেন, বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশ যখন কোনও টিকাই পাচ্ছে না তখন বুস্টার ডোজ প্রয়োগে সফলতা পাওয়া যাবে কিনা তা প্রমাণিত নয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কর্মসূচি সম্প্রসারিত করেছে। তবে ডব্লিউএইচও বার বার বলে আসছে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী যতক্ষণ টিকা না নিয়ে উন্মুক্তভাবে ঘুরতে থাকবে ততক্ষণ করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হতে থাকবে।