করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং চারজন নারী। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৭৩ জনে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ৫২৭ জন রোগী। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জনে। এসময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু এবং ১৬ হাজার ৩৩ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৬০টি সরকারি-বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে ৪৯ হাজার ২৭৫টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৪৯ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
দেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ২২ লাখ ৬১ হাজার ২৫২ জনের। মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
এদিকে, সারাদেশে একদিনে করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ছয়জন।
আরও পড়ুন : ডব্লিওএইচও’র মতে ওমিক্রনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
বিভাগওয়ারী হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ১০ জন। চট্টগ্রামের চারজন এবং রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।