মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

কিশমিশ ভেজানো পানির উপকারিতা

প্রকাশঃ

কিশমিশ মিষ্টি রান্নাতে তো থাকেই। কিছু ঝাল খাবারেও ব্যবহার করা হয় কিশমিশ। যেমন পোলাও। তবে জানেন কি সকালে উঠে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খেলে তার উপকার পেতে পারেন।

একাধিক ধরনের রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে। কিশমিশ কালো হোক বা লাল, তা পানিতে ভিজিয়ে খেলে এবং ভেজানো পানি পান করলে তার উপকার কতটা সেটাই দেখে নিই।
ত্বকের যত্ন

ত্বকের যত্নে কিশমিশ ভেজানো পানি খুবই উপকারী। ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং প্রাণবন্ত রাখে। বলিরেখা দূর করে এবং বয়সের ছাপ কমিয়ে দেয়। এই পানিতে আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’। এই ভিটামিনগুলো ত্বককে ভেতর থেকে ভালো রাখে। কিশমিশের মধ্যে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যামিনো এসিড, যেটি আমাদের ত্বককে সূর্যের হাত থেকেও সামান্য সুরক্ষা দেয়।

রক্তাল্পতা

কিশমিশ ভেজানো পানি রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে এই কিশমিশ ভেজানো পানি উপকারী। কিন্তু অবশ্যই কোনো পারিপার্শ্বিক রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিশমিশ খাওয়া ঠিক নয়।

হার্ট ও লিভার

কিশমিশ হার্ট ও লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লিভারের সমস্যা, হজমের সমস্যা দূর করতে কিশমিশ ভেজানো পানির বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল দূরে রাখে কিশমিশ। কিশমিশের পানি এবং ভেজানো কিশমিশ বায়োফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। যা রক্তকে পরিষ্কার করে এবং আপনার লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

ওজন কমায়

কিশমিশ লেপটিন উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস। যা ক্ষুধা কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। এটি শরীরের মধ্যে থার্মোজেনেসিস বাড়ায়, চর্বি কোষের ধ্বংস করে। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে। কিশমিশে প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এই ফাইবার প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এটি ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে একটি।

চুলের পুষ্টিতে

চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্যবহার করতে পারেন কিশমিশ। ভিটামিন বি, আয়রন, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো অনেক চুলবান্ধব পুষ্টি রয়েছে এতে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে মারাত্মকভাবে চুল পড়ে। আয়রন চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, আয়রন রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের ফলিকল কোষগুলোকে ঠিক রাখে। কিশমিশ আয়রনসমৃদ্ধ। তাই চুলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উপকারিতা পেতে সকালে খালি পেটে কিশমিশের পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিশমিশে থাকা ভিটামিন ‘সি’ চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। ভিটামিন ‘ই’ দ্বারা কোষের ঝিল্লি আরো মজবুত হয়, যা চুলের ফলিকলের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে। ভেজানো কিশমিশের পানি পান করার পর রক্তনালিগুলো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর ফলে মাথার ত্বকের চুলকানি এবং খুশকি কম হবে।

কিভাবে খাবেন

প্রথমে পানি ফুটিয়ে তাতে ১৫-৩০টি কিশমিশ দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সকালে উঠে সেই পানি সামান্য গরম করে পান করুন খালি পেটে। এরপর আধঘণ্টা অন্য কিছু খাবেন না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে সপ্তাহে রোজ নয়, দুই থেকে তিন দিন এই পানি খেলেই পাবেন উপকার।

সতর্কতা

কিশমিশের পানি বিভিন্ন উপায়ে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর একটি শক্তিশালী উৎস, যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা হয়, তবে ফ্যাটি লিভার, সুগার, পেট খারাপের মতো সমস্যা হয়। ফলে কিশমিশ বুঝেশুনে খেতে হবে। কোনো রোগ ইতিমধ্যেই শরীরে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কিশমিশ খেতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ