শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা জারি

প্রকাশঃ

মোবাইল ব্যাংকিংসহ সব ধরনের পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) ও পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটরদের (পিএসও) কাছে রক্ষিত গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষার জন্য ট্রাস্ট তহবিল গঠনের নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এই নীতিমালা জারি করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. মেজবাউল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রতিটি এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস), পিএসপি, পিএসও বা এজাতীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের জমাকৃত অর্থ কিছু না কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই অর্থের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে হবে। এটাকেই আমরা ট্রাস্ট তহবিল বলছি।’

এই তহবিল নজরদারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায় বলা হয়, প্রতিটি এমএফএস, পিএসপি, পিএসও গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের পর যে পরিমাণ ‘ইলেকট্রনিক মানি’ তৈরি করবে তার সমপরিমাণ কাগুজে মুদ্রা নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ডসহ নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এমএফএস, পিএসপি ও পিএসওগুলো এই তহবিল থেকে কোনো প্রকার ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। এমনকি প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় বা অন্যান্য ব্যয় বহনের ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানগুলো এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো গ্রাহক হয়তো অনলাইনে কোনো কিছু কেনার জন্য অর্থ পরিশোধ করেছেন। ওই অর্থের প্রকৃত মালিক তখন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ হস্তান্তর করার আগে ওই পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ওই অর্থ নিজের মনে করে ব্যবহার করতে পারবে না। এ জন্যই এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।’

তবে এই ট্রাস্ট তহবিলের একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজ বা মেয়াদি আমানতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময়ে সময়ে নির্দেশনা দিতে পারবে বলে জানান তিনি।

নীতিমালায় বলা হয়, যদি কখনো এমএফএস, পিএসপি, পিএসও বা এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্ট তহবিল এবং ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণে ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব আমানত জমা করে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। নীতিমালা জারির পর থেকেই তা পরিপালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে দেশে ১৫টি ব্যাংক এমএফএস সেবা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করছেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া ৯টি পিএসপি ও পিএসও প্রতিষ্ঠান মোবাইল ওয়ালেট ও পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা দিচ্ছে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ