হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভাসের কারণেই এ সমস্যা বাড়ছে। গবেষকরা বলছেন, খাদ্যাভাসে মাত্র পাঁচটি পরিবর্তন এনে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো যায়। যেমন-
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া: যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে সেসব খাবার খেতে হবে। এসব খাবারের কারণে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া। যেমন: শিম, মটরশুঁটি জাতীয় সবজি, কলাই, ডাল জাতীয় শস্য এবং ফলমূল উল্লেখযোগ্য।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি জাতীয় খাবার কমানো: খাদ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব খাবারে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে সেসব খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। যেমন: পনির, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কুট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে যেসব খাবারে চর্বি জমে না সেসব খাবার খাওয়া উচিত। এসব খাবারের মধ্যে তেল সমৃদ্ধ মাছ, বাদাম ও বীজ উল্লেখযোগ্য। লাল মাংসের বদলে মুরগীর মাংস খাওয়া। তবে গরুর মাংসের উপর থেকে চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।
লবণকে না বলতে হবে: লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লবণের পরিবর্তে মসলা দিয়ে খাবার প্রস্তুত করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।
ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: যেসব খাবারে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে সেগুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এসব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। এ জন্য প্রতিদিন পাঁচটি ফল বা সবজি খাওয়া খাওয়া উচিত ।
ক্যালরি কমানো: মোটা হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমা হলে এ সমস্যা বাড়ে। ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এসব ছাড়াও প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম, সপ্তাহে পাঁচদিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম, মানসিক চাপ কমানো এবং ধূমপান ছেড়ে দিলে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।