সেপ্টেম্বর মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। এ সময়ে জাহাজ থেকে ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৫ টিইইউস কনটেইনার ওঠানামা হয়েছে, বলে দাবি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, সম্প্রতি নতুন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কার্যক্রম পরিচালনার ফলে জাহাজ বার্থিং ও জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ গতিশীলতা অব্যাহত থাকলে ২০১৯ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজনের ফলেই চট্টগ্রাম বন্দরে উত্পাদনশীলতা বাড়ছে। লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক সাময়িকী ‘লয়েডস লিস্ট’-এর ২০১৬ সালের জরিপে বিশ্বের সেরা ১০০টি কনটেইনার বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৭১তম। ২০১৭ সালে একধাপ উন্নত হয়ে ৭০তম এবং পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ছিল ৬৪তম। এ গতিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং অব্যাহত থাকলে ২০১৯ সালে বৈশ্বিক মানদণ্ডে চট্টগ্রাম বন্দরের আরো এক ধাপ অগ্রগতি হবে বলে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান।
জানা গেছে, অতীতে গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য ইকুইপমেন্ট স্বল্পতার কারণে বিভিন্ন সময় হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এতে বন্দরের বহির্নোঙ্গরে কখনো কখনো কনটেইনার জাহাজের জট তৈরি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন আমূল পরিবর্তন হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে গত বছরে দুই দফায় ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন এসেছে। চলতি বছর এসেছে আরো চারটি। এগুলো সংযোজিত হয়েছে এনসিসি ও সিসিটিতে। সেখানে ভিড়ছে গিয়ারলেস জাহাজ। আমদানি-রপ্তানির কনটেইনার হ্যান্ডলিং দ্রুতগতিতে হওয়ার কারণে বন্দরে জাহাজকে কম সময় অবস্থান করতে হচ্ছে।
বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠান এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম শওকত আহমদ জানান, লজিস্টিক সক্ষমতা থাকাসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা অনুকূলে থাকায় রেকর্ড কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং অফডকের সর্বাত্মক সহযোগিতার পাশাপাশি অফডক থেকে সময়মতো কনটেইনার এসে পৌঁছালে কাজের গতি আরো বাড়বে বলে তিনি অভিমত দেন।