ঘূর্ণিঝড় বুলবুল -এর অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপরই বন্দরে কার্যক্রম শুরু হয়।
আজ সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েনি। আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাবিপৎসংকেত ঘোষণার কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার সকালে বন্দর জেটিতে থাকা ১৮টি পণ্যবাহী জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বন্দর কার্যক্রম শুরুর পর এসব জাহাজ জেটিতে ফিরিয়ে আনতে সাগরে গেছেন বন্দরের নিজস্ব পাইলটরা। জোয়ারের সময় বন্দর জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো যায়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জোয়ারের মধ্যে ৭ থেকে ৯টি জাহাজ ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। জাহাজ ভেড়ানোর পরই বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানো শুরু হবে।
বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের কার্যক্রম সচল হয়েছে। জাহাজ জেটিতে ভেড়ানো হচ্ছে। আমদানিকারকেরা চাইলে পণ্য খালাসও করতে পারবেন। সে জন্য বন্দরের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে বন্দর চত্বরে পণ্য খালাসের জন্য খালি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইম মুভার ট্রেইলার ঢুকতে শুরু করেছে।