করোনাভাইরাসের প্রভাবে যাত্রী সংকট দেখা দেয়ায় ঢাকা রুটে ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। একই কারণে ঢাকা রুটের ফ্লাইট বন্ধই করে দিতে চলেছে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স। ট্যুর অপারেটর ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চায়না সাউদার্নের বিষয়ে সূত্র জানায়, আগে সপ্তাহে সাত দিন ফ্লাইট চালিয়ে আসছিল। চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ফ্লাইট সীমিত করে ফেলে এয়ারলাইন্সটি। তবে বর্তমানে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে (সপ্তাহে) তাদের একটিমাত্র ফ্লাইট (মঙ্গলবার) চলাচল করছে। এ ফ্লাইটও যায় ফাঁকা। তাই যে কোনো সময় এ ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এয়ারলাইন্সটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে যাত্রী সংকট দেখা দিলে ফেব্রুয়ারিতে সপ্তাহে সাত ফ্লাইট থেকে কমিয়ে চার ফ্লাইটে আনে চায়না সাউদার্ন। প্রতিষ্ঠানটি এই রুটে আগে এয়ারবাস এ-৩৩০ মডেলের এয়ারক্রাফট চালাত। ফ্লাইট সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি বিমানের আকারও ছোট করে তারা।
এ বিষয়ে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে চায়না ইস্টার্নের ব্যাপারে জানা যায়, এয়ারলাইন্সটি আগে ঢাকা-কুনমিং রুটে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করতো। এ সংখ্যা কমিয়ে এখন তিনটি ফ্লাইট চালাচ্ছে তারা। রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার চলছে এ ফ্লাইট।
এ বিষয়েও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সেরও বাংলাদেশ কার্যালয়ের কারও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য মেলেনি।
এ ব্যাপারে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল-আহসান বলেন, চায়না সাউদার্নের ফ্লাইট বন্ধের পথে। চায়না ইস্টার্নও ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়েছে। বর্তমানে চায়না ইস্টার্নের পাশাপাশি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ-চীন রুটে সীমিত আকারে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ইউএস-বাংলার বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফটি আগে সপ্তাহে সাত দিন চলাচল করলেও এই সংখ্যা কমিয়ে তিন ফ্লাইট করা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক এয়ারলাইন্সই চীন রুটের সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত করছে। তবে বাংলাদেশের তরফ থেকে এখনো এ ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।