আজ থেকে শুরু টোকিও অলিম্পিক। করোনা আবহেই হচ্ছে এবারের আসর। এবারের আসরের নামকরণ হয়েছে ‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’। করোনায় এক বছর পিছিয়ে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকের পর্দা নামবে ৮ আগস্ট। ২০৬ দেশের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন এবারের অলিম্পিকে।
গত ২৫ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে টোকিও অলিম্পিকের ১২১ দিনের টর্চ রিলে বা মশাল দৌঁড়। যা আজ ২৩ জুলাই ফুকুশিমায় শেষ হবে। মশাল দৌঁড়ে ১০ হাজার দৌড়বিদ অংশ নিচ্ছেন।
করোনার কারণে কোনো দর্শক ছাড়াই হয় টর্চ রিলের মূল অনুষ্ঠান। করোনাভাইরাস মহামারি জাপানে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার আশাকে একেবারে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।
এর পরিবর্তে পুরো অনুষ্ঠানটির মেজাজ হবে ভাব-গম্ভীর, যা বর্তমান সময়ের জন্য যা উপযুক্ত। বিবিসি জানিয়েছে, জাপানি সম্রাট নারুহিতো এই অলিম্পিক উদ্বোধন করবেন। কিন্তু তার ভাষণে ‘উৎসব’, ‘আনন্দ’ ইত্যাদি শব্দগুলো থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
যে ভেন্যুতে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে তার ধারণ ক্ষমতা ৬৮,০০০। কিন্তু অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন এক হাজারেরও কম মানুষ, যাদের বেশিরভাগই আমন্ত্রিত ভিআইপি। সম্প্রতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক কমিটি।
মহামারির কথা চিন্তা করে অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন না অনেক নামিদামি তারকারা। এছাড়া কোভিড নিয়ম না মানলে শুধুমাত্র এবারের গেমস ভিলেজ থেকেই নয়, ভবিষ্যতের অলিম্পিকেও জায়গা হবে না বলে অ্যাথলেটদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে টোকিও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।
এতকিছুর পরও এবার ঝুঁকিতে আছে টোকিও অলিম্পিক। ক্রমেই বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এবার অলিম্পিক ভিলেজেই অ্যাথলেট ও অফিসিয়ালদের শরীরে ধরা পড়ছে করোনাভাইরাস।
জাপানে বর্তমানে জরুরি অবস্থা চলছে। পুরো গেমসই জরুরী অবস্থার মধ্যে পরিচালিত হবে। ১২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া জরুরী অবস্থা চলবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত। অলিম্পিক গেমস ২৩ জুলাই শুরু হয়ে ৮ আগস্ট শেষ হচ্ছে। এরপর শুরু হবে প্যারালিম্পিক গেমস।