তুরস্কের ১০ শহরে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়্যেপ এরদোয়ান। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছিলেন এরদোয়ান।
এ সংক্রান্ত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৭০টি দেশ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। তাছাড়া সরকার পশ্চিমে আন্টালিয়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে হোটেল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেরা অস্থায়ীভাবে সেখানে বসবাস করবেন।
এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ১০ হাজার ভ্রামমাণ ঘর পাঠানোর কথা জানিয়েছে কাতার। এর পাশাপাশি ১২০ জনের উদ্ধারকারী দল, ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল বা মাঠ হাসপাতাল তৈরির সরঞ্জাম ও মানবিক সাহায্য পাঠানোর কথা জানিয়েছে কিছুদিন আগেই ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ।
জানা যায়, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে তিন হাজার ৫৪৯ জন নিহতের হয়েছেন। তুরস্ক ও সিরিয়ায় সম্মিলিত নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ১৫১ তে উন্নীত হয়েছে। ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন আরও বহু মানুষ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় দেশ দুটির অধিকাংশ মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য বলছে, তুরস্ক, সিরিয়ার পাশাপাশি সাইপ্রাস, লেবানন, ইসরায়েল, মিশরেও অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্পটি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পনসহ শতাধিক আফটারশক আঘাত হেনেছে ওই অঞ্চলে।