তেলের দাম কমেছে বিশ্ববাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর হ্রাস পেয়ে গত সপ্তাহ শেষ হয়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য নেমেছে ৮৯ ডলারে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল তেলের দাম।
গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই তেল নিয়ে সংকট প্রকট হতে শুরু করেছিল। এবার গত ছয় মাসের মধ্যে এত নিম্নমুখী হলো তেলের দাম।
বর্তমানে মন্থর বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। এরই মধ্যে শিল্প কার্যক্রম কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমেছে। ফলে তেলের মূল্যও কমেছে।
মাত্র দুই মাস আগেও ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ছিল ১২০ ডলারের ওপরে। ধীরে ধীরে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য কমছে। সাম্প্রতিক সময়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোতে উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদাও কমেছে। এ ছাড়া সময় যত গড়াচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা তত বাড়ছে। এতে তেলের দর কমছে।
বৃহস্পতিবার ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডাব্লিউটিআই) তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে যায়। গত মার্চে যার দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে। তার চেয়ে যা ২৯ শতাংশ কম। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৯৪ ডলারে।
এডওয়ার্ড জোন্সের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফয়সাল এ হারসি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দরপতনের অন্যতম কারণ এখন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার দিকে। তারা দেখছেন উদ্ভূত কঠিন পরিস্থিতি কিভাবে গোটা বিশ্বের জ্বালানির চাহিদাকে প্রভাবিত করে।
এদিকে লিবিয়া থেকেও সরবরাহ বেড়েছে। ফলে অস্থিরতা কিছুটা কমে যাওয়ার ব্যাপারে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।