ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায় শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই। এই সময়ে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় এ ধরনের সমস্যা বাড়ে। তাই শীতে অনেকেই ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকেই বাজারের নানা পণ্যের ওপর ভরসা করেন। তবে বাড়িতে হাতের কাছে এমন কিছু উপাদান আছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন। এমন কিছু উপাদান নিয়েই আজকের আলোচনা।
নারিকেল তেল
এটি ত্বকের ওপর পাতলা আবরণ তৈরি করে ত্বককে কোমল করে। নারিকেল তেলের সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেট ও মসৃণ করে। এই তেলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটিকে অন্য কোন কিছুর সঙ্গে মেশানোর প্রয়োজন নেই। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করলেও কোন ক্ষতি নেই।
পেট্রোলিয়াম জেলি
গবেষণা বলছে, পেট্রোলিয়াম জেলি বয়স্কদেরও ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান দেয়। এটি ত্বকের ওপর প্রতিরক্ষার স্তর তৈরি করে আর্দ্রতা রক্ষা করে বলে এটিকে ত্বকের মিনারেল ওয়াটারও বলা হয়ে থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ওমেগা-থ্রি
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া মানে হলো, আপনি যে ধরনের খাবার গ্রহণ করছেন তা শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সুস্থ্ করে তোলার জন্য যথেষ্ট নয়। তাই শীতে এমন কিছু খাবার গ্রহণ করুন যা আপনার ত্বককে দ্রুত সুস্থ্য করে তুলবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি আছে এমন খাবারগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে সুস্থ কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। এমন কিছু খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-টমেটো, গাজর, মটরশুঁটি, ডাল, মসুর ডাল ইত্যাদি।
গ্লাভস
শীতে পানি দিয়ে ঘরের কাজ করার সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন। কারণ শীতে কাজ করার সময় হাতই অনেক বেশি শুষ্ক হয়। গ্লাভস আপনার হাতের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
গোসল গরম পানি ও সাবান ব্যবহারে সতর্কতা
শীতে গোসলে অনেকেই গরম পানি ব্যবহার করেন। কিন্তু গরম পানি ত্বকের আরো ক্ষতি করতে পারে। আবার বাজারে এমন কিছু সাবান পাওয়া যায় যা ব্যবহার করলে শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীতও হতে পারে। তাই শীতে গোসলের সময় কুসুম গরম বা হাল্কা গরম পানি ব্যবহার করুন। সুগন্ধি সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
সুস্বাস্থ্যকে ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের দ্বারা সর্বপ্রথম আক্রান্ত হয় ত্বক। তাই ঋতু পরিবর্তনের সময় অবশ্যই ত্বকের প্রতি একটু বিশেষ যত্ন নিতে হবে।