করোনা মহামারী মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের প্রয়োজনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে আমদানীকৃত টিকা, ভেন্টিলেটর ও সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করতে প্রয়োজনে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
সম্প্রতি উপহার হিসেবে পাওয়া ২৫০ টি ভেন্টিলেটর গত ২৪ জুলাই দেশের প্রয়োজনে বিনা খরচে দিল্লি থেকে দেশে পৌঁছে দিয়েছে বিমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রবাসী একদল চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটরগুলো উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। এ সকল ভেন্টিলেটর বিশেষ কার্গো ফ্লাইট বিজি-৪০৯৮ এর মাধ্যমে দিল্লি থেকে দেশে এনেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ৫০০ কার্টনে মোট ৩ টন ওজনের ২৫০ টি অক্সিজেন ভেন্টিলেটর ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরঞ্জামাদি বিনা খরচে দেশে আনে বিমান। দেশে আনার পর বিনা খরচে কার্গো হ্যান্ডলিং সুবিধাও প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনা মহামারীকালীন সময়ে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।
উল্লেখ্য, চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের মোট ৪০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা ইতোমধ্যে সাশ্রয়ী খরচে গত ২, ৩, ১৭ এবং ১৮ জুলাই মোট চারটি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে পরিবহন করে এনেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। খুব শীঘ্রই দেশের প্রয়োজনে এমন আরো বেশ কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে আটকে পড়া ৩১৪ জন বাংলাদেশী যাত্রী নিয়ে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট বিজি-৭০০২ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে অবতরণ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বৈমানিক ও অন্যান্য ক্রুগণ অনেক ঝুঁকি নিয়ে দেশের নাগরিকদেরকে চীন থেকে দেশে নিয়ে আসে।
টিকা ও সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহনের পাশাপাশি দেশের প্রয়োজনে, মহামারী ও অন্যান্য কারণে বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন জরুরি সেবামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।