দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩ জন মারা গেছেন এবয় এই সময়ে ২৫২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪২ হাজার ৮৪৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ৫৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৯ হাজার ১৫ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। আর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৭ মার্চ। শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দিন দিন শনাক্ত বৃদ্ধি এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ার মানেই হচ্ছে দেশে সংক্রমণ এখনও ঊর্ধ্বমুখী। অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা বলছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ একটা সর্বোচ্চ সীমায় (পিক) পৌঁছায়। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কমে যাওয়ার পর ফের সংক্রমণের রেকর্ডও আছে বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল ৭৯তম দিনে। সেই হিসাবে আমাদের বিদ্যমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। একদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি, আরেকদিকে নতুন করে সংক্রমণ ফিরে আসার দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি গোটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
শুক্রবার বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিবেদন তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৮২টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৩০১টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৮৭ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৪২ হাজার ৮৪৪ জন করোনারোগী শনাক্ত হলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৫ জন মারা গেছেন। আর নয় হাজার ৩১০টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ২৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি শনাক্তের সংখ্যা হয়েছে নতুন রেকর্ড। এর আগে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে গত ২২ মে। সেদিন ২৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।