বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থল বন্দর। পণ্য খালাসে জটিলতা, কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আংশিক শুল্ক ছাড় না দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে সোনামসজিদ বন্দরে পণ্য আমদানি কার্যক্রম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অন্যান্য বন্দরের মতো সোনামসজিদ স্থল বন্দরেও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বন্দরের কর্মতৎপরতা বাড়বে বলে জানান পণ্য আমদানি রফতানিকারক ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এর আগেও প্রতিদিন গড়ে পাঁচশতাধিক গাড়ি ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এই বন্দরে আসত। পণ্য খালাসের পর আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্য যেমন; আপেল, কমলা, মরিচ, ভুট্টা, আদা, জিরা কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যেত। কিন্তু বর্তমানে এই বন্দরে আমদানি হচ্ছে শুধু কমলা, পেঁয়াজ ও পাথর। যা রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যথেষ্ট নয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বন্দরে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আংশিক শুল্ক ছাড় দিলেও এখানে তা দেওয়া হয় না। এছাড়া বন্দরে পণ্য খালাসে জটিলতা, জায়গা স্বল্পতা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
এতে সরকার শুধু রাজস্ব হারাচ্ছে না, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে এই অঞ্চলের জনগণ। তাই অন্যান্য বন্দরের মতো এখানেও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান পণ্য আমদানি রফতানিকারক ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, অন্যান্য বন্দরগুলোর ন্যায় এখানেও একই রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে পন্য খালাসের কার্যক্রম পরিচালনা করলে এখান থেকেও সরকারের দ্বিগুণ রাজস্ব আয় করা সম্ভব।
তবে রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার নানা কারণ ব্যাখা দিয়ে সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন শুল্ক কর্মকর্তা সন্তোষ সরেন। তিনি বলেন, পাথরে ট্যাক্সের পরিমাণ খুবই কম। যদি ট্যাক্সএবল আইটেম বা অধিক শুল্ককৃত পণ্য আমদানি করা হয় তাহলে রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব।