পদক পাচ্ছেন সাহসিকতা এবং সেবামূলক কাজের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৮০ সদস্য। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে গাজীপুরের সফিপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাহিনীর সদস্যদের এই পদক তুলে দেবেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আনসার শাখা-২ থেকে ১৮০ জন সদস্যের পদকের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই সদস্যরা আট ক্যাটাগরিতে পদক পাবেন। বাংলাদেশ আনসার পদক ক্যাটাগরিতে ১০ জন, প্রেসিডেন্ট আনসার পদক ক্যাটাগরিতে ১৯ জন, বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক ক্যাটাগরিতে ৯ জন, প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক ক্যাটাগরিতে ১৯ জন, বাংলাদেশ আনসার (সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ১৯ জন, প্রেসিডেন্ট আনসার (সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ৩৯ জন, বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ১৯ জন এবং প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ৩৯ জন পদক পাবেন।
এর মধ্যে মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল’ পদক পাচ্ছেন ভিডিপি সদস্য মৃত রূপচান। তার পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করবেন রূপচানের ছেলে মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৫ জন নারী সদস্য আনসার পদক পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (প্রকল্প-প্রশিক্ষণ) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি গাজীপুরের সফিপুরে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী গঠন করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাহিনীটি।
১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি ইতিহাসে আনসার বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার রাইফেল ও গোলাবারুদ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই বাহিনীর সদস্যরা। যুদ্ধে বাহিনীর ৬৭০ জন শহীদ হন। তাদের মধ্যে ১০ জন কর্মকর্তা ও তিনজন কর্মচারী এবং ৬৫৭ জন সদস্য।