ঈদের আগে ও পরের কয়েক দিন অনেকটাই ফাঁকা ছিল রাজধানী। তবে গত সোমবার থেকে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে মানুষ ও গাড়ির চাপ। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) নগরীর প্রতিটি সড়কে বেড়েছে যানবাহন চলাচল। যানজট তীব্র না হলেও, সিগন্যালে গাড়ির দীর্ঘ সারির দেখা মিলছে। বেড়েছে ট্রাফিক পুলিশের কর্মচাঞ্চল্য।
ঈদে ঢাকা ছেড়েছিলেন ১ কোটির বেশি মানুষ। ছুটি শেষে তারা আবার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করায় পুরোনো চেহারায় ফিরছে রাজধানী। কয়েক দিন রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও নতুন করে সড়কে বাড়তে শুরু করেছে যানবাহন। গণপরিবহনের তেমন চাপ না থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ব্যাপক।
তবে নগরীর সড়কে এখনো যানজট তেমন না থাকায় দ্রুত যাতায়াতে খুশি সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে গণপরিবহনে তুলনামূলক যাত্রী কম থাকায় কিছুটা হতাশ সংশ্লিষ্টরা। ঈদের ছুটিতে সড়কে অলস বসে থাকলেও নগরীর ব্যস্ততা বাড়ায় বাড়ছে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা। আগামী সপ্তাহের শুরুতে একেবারে পুরোনো চেহারায় ফিরবে রাজধানী, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
শহরের কেন্দ্রস্থলের প্রবেশমুখে যানজটের তীব্রতা ছিল তুলনামূলক বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ঢেউ এসে পড়ে অফিসপাড়ায়। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে এখনো গ্রাম থেকে মানুষজনকে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে।
বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসগুলো যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে রাজধানীর গাবতলীতে। বাসের যাত্রীরা গাবতলী থেকে তাদের গন্তব্যস্থলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ও গণপরিবহনে যাতায়াত করছেন।
গাবতলীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য শাজাহান মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক দিনের চাইতে গতকাল ও আজ কিছুটা চাপ বেড়েছে। গাবতলী বাস টার্মিনালে সব সময় ভিড় থাকলেও ঈদের সময় অতিরিক্ত ভিড় থাকে। আগামী সপ্তাহ থেকে ভিড় আরও বাড়বে।
এছাড়া রাজধানীর মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে।
রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পল্টন, গুলিস্তান, মগবাজার, হাতিরঝিল, বাড্ডা, মহাখালী, বনানী, এয়ারপোর্ট ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় সকালে গাড়ি চাপ ছিল। তবে দুপুরের দিকে কিছুটা কম থাকলেও বিকেলে সেই চাপ আবারও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
কারওয়ান বাজারে দায়িত্বরত ট্রাফিকের সার্জেন্ট ইকবাল হাসান বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির চাপ কম ছিল। আজ এই সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে।