রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

বর্ষায় মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রকাশঃ

বর্ষাকালে নানা রোগের সঙ্গে এসে হাজির হয় অ্যালার্জি। যাদের এমনতিই অ্যালার্জি রয়েছে তাদের বিশেষ করে এই সময়ে শরীরের ওপর বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। এমনিতেই করোনাকালে কোনোভাবেই সর্দি-কাশি-গলা খুশখুশ বা নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচির মতো সাধারণ অ্যালার্জিকেও প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কারণ শরীরে ইমিউনিটি কমে যাওয়া মানেই করোনাভাইরাসের দাপট বেড়ে যাওয়ার পথ খুলে দেওয়া।

তাই এই করোনা পরিস্থিতিতে অ্যালার্জিকে হেলাফেলা না করে,ৃ কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ঘরোয়া সহজ কিছু উপায়ে অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভবন। চলুন তেমন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিই।

কীসে অ্যালার্জি বাড়ছে বা বাড়তে পারে বোঝার চেষ্টা: ঋতু বদলালেই কি আপনার অ্যালার্জি শুরু হয়? তবে নিশ্চয়ই আপনি এতদিনে বুঝে গিয়েছেন যে এটি একটি সমস্যা আপনার। তবে অনেক সময় কোনো খাবার, কোনো বিশেষ সময়, কোনো বিশেষ কাপড়ের পোশাক, কোনো বিশেষ জিনিস থেকেও অ্যালার্জি শুরু হতে পারে। আর ধুলাবালি তো রয়েছেই। তবে মাস্কের কাপড় কী হবে তা খুব ভালোভাবে জেনে বুঝে ব্যবহার করুন। করোনা থেকে বাঁচতে গিয়ে মাস্কের কাপড় থেকে উল্টে যেন অ্যালার্জি শুরু না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

নাক পরিষ্কার রাখুন: এমনিতেই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে বেশ কিছু নিয়ম পালনের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলি বাড়িতে থাকলেও অবশ্যই পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। যতবার টয়লেট যাচ্ছেন বা নির্দিষ্ট একটা সময় পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করে নিন। পাশাপাশি, যদি সর্দির ধাত থাকে তবে নিজের নাক সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। নাকের মাধ্যমেই মূলত অ্যালার্জির উপাদান শরীরের ভিতর ঢোকে। প্রয়োজনে স্টিম নিন, নাকের স্প্রে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

অ্যালার্জির সমস্যা বুঝতে পারা: ৫০ শতাংশ মানুষ বুঝতেই পারেন না তারা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৩৩ শতাংশ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পান না। তার কারণ, সচেতনতার অভাব। বেশিরভাগ ভারতীয় মনে করেন, অ্যালার্জির দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা নেই। তাই যতক্ষণ না রোগ বড় আকারে দেখা দিচ্ছে, ততক্ষণ তারা চিকিৎসা করেন না।

ঘরবাড়ির পরিচ্ছন্নতা: ঘরবাড়ি পরিষ্কার না থাকলে মূলত ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। এর কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি পড়ার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র্যাশও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রথমেই ঘরের পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। এর পর সবুজ শাক-সবজি, গ্রিন টি, ঘি খাওয়া এবং ভেপার নেওয়া যেতে পারে।

স্ট্রেস ও ঘুম: ভাজাভুজি, প্রসেসড খাবার, চিনি এসব থেকে আপনার শরীরে প্রচুর টক্সিন অর্থাৎ বিষ তৈরি হয়। এগুলির জেরে আপনার মানসিক চাপ আরও বাড়ে। আপনি বুঝতেও পারেন না কী কারণে আপনি স্ট্রেসড আউট। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর ঘুমের ব্যাঘাত মানেই আপনার শরীরের পুরো সিস্টেমটাই বদলে যাওয়া। ফলে শরীর কমজোর হয়ে যায়, সহজেই কোনো সংক্রমণ ধরে ফেলে। নিজের শরীর থেকে বিষ বের করে ফেলতে হবে, ঘুমের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত ফল, হলুদ, আদা, বাদাম খাওয়া ও প্রচুর পানি পান করতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ