শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালে অসহায় গরীব রোগীদের চিকিৎসার্থে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান

প্রকাশঃ

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালে অসহায় গরীব রোগীদের চিকিৎসার্থে এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ০৩ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে উক্ত অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব মোঃ আবুল বাশার বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. এ. কে. এম একরামুল হোসাইন স্বপন এর নিকট উক্ত অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। উক্ত অনুদানের চেক হস্তান্তরকালে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোশাররফ হোসেন, চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কবিরুল ইসলাম, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর এফএভিপি মোঃ সানাউর রশিদ (সাগর), জেএভিপি ও জনসংযোগ বিভাগের ইনচার্জ (চলতি দায়িত্ব) কে. এম. হারুনুর রশীদ এবং শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতাল একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তাদের অভিবাবক দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত। থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তস্বল্পতাজনিত মারাত্মক বংশগত রোগ। বাবা মা উভয়েই এই রোগের জীন বহন করলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে এক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের শতকরা ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। সে অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সহ¯্রাধিক শিশু এই রোগে ভুগছে এবং প্রতিবছর ১০-১৫ হাজার শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।

নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন ও কিছু ব্যয়বহুল ঔষধ নিয়মিত সেবন করে রোগী মোটামোটিভাবে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এর জন্য প্রতিমাসে ৭ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। মাত্র অল্প কিছু টাকা ব্যয় করেই বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি থেকে এইচপি ইলেট্রোফরোসিস (ঐচ ঊষবপঃৎড়ঢ়যড়ৎবংরং) পরীক্ষার মাধ্যমে একজন জেনে নিতে পারেন তিনি এই রোগের বাহক কিনা। শুধুমাত্র সচেতনতাই একজন বাহকের সাথে আর একজন বাহকের বিবাহ বন্ধ করে থ্যালাসেমিয়া রোগাক্রান্ত সন্তান জন্ম দেওয়া রোধ করা যেতে পারে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ