বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচলের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুগান্তকারী চুক্তি দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিড চুক্তি হলে উভয় দেশের পণ্যবাহী ট্রাক ভারত হয়ে সরাসরি চলাচল করতে পারবে। ফলে ভুটানে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে বাড়তি সুফল পেতে হলে রাস্তা-ঘাটসহ বন্দরের অবকাঠামো উন্নতি করতে হবে। মূলত অর্থনৈতিক দিক বিবেচনার থেকে মানবিক দিক বিবেচনার কারণেই ভুটানকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে এখানে উভয় দেশের ট্রানজিট শুধু নয়, তৃতীয় দেশও রয়েছে। এতে কলকাতা বন্দর ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুবিধা পাবে ভুটান। এর মাধ্যমে ভুটানের তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভূমিকা রাখবে। আর বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের বন্দর ও পরিবহন ব্যবহার করলে আমাদের রাজস্ব আয় বাড়বে ৷
ভুটান থেকে যে সকল পণ্য আমদানি হয় তার মধ্যে পাথর ও কৃষিজাত পণ্য বেশি। এতে ট্রানজিট সুবিধা পেলে আমদানিকৃত পণ্যে মান ঠিক রাখাসহ অপচয় ও সময় কম লাগবে যা উভয় দেশে সুবিধা পাবে। এছাড়া তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের যে সুবিধা পাবে সেটা একটা নতুন সংযোজন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বন্দরগুলো ভুটান ব্যবহার করবে সেখানে আয় বাড়বে। এক্ষেত্রে সরকারকে যে বিষয়ে নজর দিতে হবে সেটা হলো, বাংলাদেশের যে বন্দরগুলো কম ব্যবহৃত হয় যেমন মোংলা ও পায়রা বন্দরগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ যে যানবাহন ব্যবহার হবে সেখানেও রাজস্বের একটা বিষয় রয়েছে। এজন্য সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে যে ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রে উভয় দেশের বা শুধু বাংলাদেশের ট্রান্সপোর্টকে যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন যদি হয় তাহলে পরিবহন খাতে পজিটিভ প্রভাব পড়বে। এতে করে বেসরকারি খাত উৎসাহী হতে পারে।