বাংলাদেশ সচিবালয়ে কাজকর্ম নির্বিঘ্ন করতে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ২২ মার্চ নতুন নির্দেশনা দিয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি চারটি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। নতুন চিঠিতে রয়েছে ছয়টি নির্দেশনা।
জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন খলিফার সই করা চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কেন্দ্র এবং একটি সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সচিবালয়ের কাজকর্ম নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে ছয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
১. বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সব উপসচিব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের মাইক্রোবাস মুক্তাঙ্গন/নির্ধারিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পার্কিংয়ে অবস্থান করতে হবে। কোনোমতেই সচিবালয়ে অবস্থান করবে না।
২. প্রটেকশনের গাড়ি কোনোক্রমেই বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করবে না। সচিবালয়ের বাইরে পূর্বপাশে/প্রাপ্তি সাপেক্ষে ওসমানী উদ্যানে প্রটেকশনের গাড়ি পার্কিং করবে। স্টিকারবিহীন ও অনুমতি ছাড়া কোনো গাড়ি সচিবালয়ে প্রবেশ করবে না।
৩. বাংলাদেশ সচিবালয়ের সম্মুখভাগ অর্থাৎ আব্দুল গণি সড়কে কোনো রিকশা/ভ্যান চলাচল করবে না।
৪. সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য সব ধরনের ম্যানুয়াল কার্ড আগামী দুই মাসের মধ্যে বাতিল করা হবে।
৫. আগে ইস্যু করা গাড়ির প্রবেশ পাস আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সচল থাকবে। গাড়ির নতুন প্রবেশ পাস দেওয়া হবে।
৬. সচিবালয়ের ভেতরে অকেজো ও ভাঙা গাড়িগুলো এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে।
এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।
আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল- সচিবালয়ের সম্মুখভাগসহ চারপাশে এবং ভেতরে বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে কোনোরূপ তোরণ/স্ট্যান্ড, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট, স্থাপন/সাঁটানো/ঝুলানো যাবে না।
নতুন নির্দেশনায় এ বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নতুন নির্দেশনায় সচিবালয়ে প্রবেশে ম্যানুয়াল কার্ড বাতিল, আগে ইস্যু করা গাড়ির প্রবেশ পাস আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সচল থাকা এবং অকেজো গাড়ি এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।