রাজধানী ঢাকার বাতাসে এখন ভেসে বেড়ায় বিষ। বায়ু দূষণের দিক থেকে বসবাসের অযোগ্য তালিকায় বিশ্বে আজকের দিনেও দ্বিতীয় শীর্ষ শহর ঢাকা।
যেখানে বাতাসে ভেসে বেড়ানো বস্তুকণার ৭০ শতাংশই, মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির। সমন্বয়হীন উন্নয়ন কাজের ধুলা আর গাড়ীর অবিরত কালো ধোঁয়ায় যেকোনো প্রাণীর মতো বিপন্ন এখন মানুষও। গেল ৩ বছরে শুধু যক্ষারোগিই বেড়েছে কমপক্ষে ৩ গুন। দেশে, মৃত্যুর শীর্ষ ১০-এর মধ্যে এগিয়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। বাতাসে উড়ছে ধূলা নামক উড়ন্ত বিষ।
একদিকে সমন্বয়হীন উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ অন্য দিকে ফিটনেস বিহীন বাহনের কালো ধোঁয়া। সেই সঙ্গে ঢাকার চারপাশ ঘিরে থাকা ইটভাটার চুল্লী থেকে নির্গত অবিরত কালো ধোয়া। নতুন ওয়ার্ডসহ ২৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই রাজধানীতে নিঃশ্বাস নেন প্রায় ২ কোটি মানুষ। কেমন আছেন তারা?
মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর সুক্ষকণা বেড়েছে অন্তত ১৫ গুন। ফলে দূষিত নগরীর তালিকায় প্রায়-ই চ্যাম্পিয়ান হয় প্রাণের ঢাকা, যেখানে রাস্তায় অহেতুক হর্ণ তথা শব্দের নির্মমতায় হাঁপিয়ে উঠে অসহায় মানুষ।
সবশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক গবেষণায় বলা হয়, উত্তরা, কুড়িল, তিনশো ফিট, মিরপুর, গুলিস্তান ঢাকার এসব এলাকায় বায়ু দূষণের পরিমাণ সবচাইতে বেশী।
পরিবেশ দূষিত হওয়ার ফল কতটা ভয়াবহ জাতীয় ব্যক্ষব্যাধী হাসপাতালে ভর্তি টাঙ্গাইলের আবুল হোসেনের অসহায়ত্ব তার বড় প্রমাণ। তার বাড়ীর পাশের জাতীয় সড়কের উন্নয়ন চলায় গত দুই বছর ধরে সীমানা ছাড়িয়েছে এ্যাজমা সমস্যা। বক্ষব্যাধী হাসাপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান জানিয়েছেন, তিনবছর আগের তুলনায় শ্বাস-কষ্ট নিয়ে এখন রোগী ভর্তির সংখ্যা তিনশো পার হয়ে এক হাজারে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বায়ু দূষণ পরিমাপক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বলছে, বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটায় ঢাকা ছিলো দূষিত নগরীর তালিকায় দ্বিতীয়।