জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন ৪র্থ ও শেষ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। গতকাল বিকাল ০৪:৪০ ঘটিকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪র্থ ড্রিমলাইনার অবতরণ করে। এ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হচ্ছে ১৬টি। দেশে পৌঁছার পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল, পরিচালক পরিকল্পনা, চীফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার ভিনীত সুড এবং বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের অন্যান্য উধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ৪র্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘন্টা উড়ে সিয়াটল হতে সরাসরি ঢাকায় এসে অবতরণ করে।
বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী, এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানীর এভারেট ডেলিভারী অপারেশন্স সেন্টার হতে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উড়োজাহাজটি গ্রহণ করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সংগে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ইতোমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। আজকেরটিসহ বিমান বহরে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের সংখ্যা দাঁড়াল ০৪টি। চুক্তি অনুযায়ী এটি ছিল বিমান বহরের শেষ উড়োজাহাজ।
বিমান বহরের চারটি ড্রিমলাইনারের নাম বাছাই করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
রাজহংস’র আসন সংখ্যা থাকছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়ক স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ভ্রমণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৪র্থ ও শেষ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার রাজহংস’র শুভ উদ্বোধন করবেন বলে সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।