বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে ৩ শতাংশ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ব অর্থনীতির মন্থর গতি উদ্বিগ্ন করছে বিনিয়োগকারীদের, এর পাশাপাশি সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও চীনে করোনায় নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপে বিশ্ববাজারে কমছে জ্বালানি তেলের দাম।
গতকাল বুধবার (৩১ আগস্ট) অগ্রিম বাজারে অক্টোবরে সরবরাহ হবে এমন অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩.৫৬ ডলার কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৯৫.৭৫ ডলার। আগের দিন মঙ্গলবারও দাম কমে ৫.৭৮ ডলার।
এর পাশাপাশি নভেম্বরে সরবরাহ হবে এমন তেলের দামও ২.৭০ ডলার বা ২.৭৬ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৯৫.১৪ ডলার।
এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডাব্লিউটিআই) তেলের দাম ২.৫৮ ডলার বা ২.৮২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৯.০৬ ডলার। এর আগের দিন মঙ্গলবারও দাম কমে ৫.৩৭ ডলার।
জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা রাখতে সম্প্রতি জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ নেওয়ার পর বিশ্ববাজারে গত কিছুদিন খানিকটা স্থিতিশীল ছিল অপরিশোধিত তেলের দাম। গতকাল তাতে ছন্দপতন ঘটল।
আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের মতে, চীনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ায় দেশটির প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়েও কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা বিশ্বজুড়ে মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) আগামী মাসে সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে। এটিও জ্বালানির তেলের দাম কমায় ভূমিকা রাখছে।