বেনাপোল বন্দরে পণ্য রক্ষণাবেক্ষণে বেহাল দশা, পণ্য খালাস ও পরীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে জটিলতা আর জায়গা সঙ্কটসহ নানা অব্যবস্থাপনায় স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের পাশাপাশি বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন আমদানি পণ্য বহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাণিজ্য বাড়াতে বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। এসব বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যে গতি ফিরবে বলেও জানান তিনি।
বন্দরে জায়গার অভাবে দিনের পর দিন পণ্য নিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। যার প্রভাব পড়ছে দেশীয় বাজারে আমদানি পণ্যের ওপর। অথচ এ বন্দর থেকে প্রতি বছর সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। এরই মধ্যে বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ জানিয়ে ভারতের পেট্রাপোলের বনগাঁ মোটরশ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন আলটিমেটাম দিয়ে বলেছেন, দ্রুত পণ্য খালাসসহ অব্যবস্থানার স্থায়ী সমাধান না এলে তারা বেনাপোল বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিবেন। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরে সমস্যার অন্ত নেই। বন্দরের জায়গার অভাব আর খালাসের যন্ত্রপাতি বিকল থাকায় তারা সময়মতো পণ্য নিতে পারছেন না। অথচ এ বন্দর থেকে প্রতি বছর তারা সরকারকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারতীয়রা বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ পথে বাণিজ্য বন্ধের যে হুমকি দিয়েছেন তার যৌক্তিকতা আছে। উন্নয়ন নিয়ে বেনাপোল বন্দরের কোনো মাথাব্যথা নেই। বন্দরের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪০ হাজার মেট্রিক টন কিন্তু পণ্য থাকে সব সময় ২ লাখ মেট্রিক টন।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আবদুল জলিল বলেন, এরই মধ্যে বন্দরের বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। তবে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ, পণ্যগার বাড়ানো, চুরি রোধে সিসি ক্যামেরা ও বন্দরের চার পাশে প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।