চলতি হজ মৌসুম-২০১৯ সালের হজ পালনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ২১ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে প্রথম দফা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হজ নিবন্ধন শুরু হয়ে গতকাল ১০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা দেয়া হয়েছিল। পাসপোর্ট সংগ্রহে বিলম্বের কারনে হজযাত্রী নিবন্ধনে কাঙ্খিত কোটা পূরণ হয়নি। গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার ৬৭৫ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভেরিফিকেশনের জন্য পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে ৫৭ হাজার ২০টি। এ কারণে আবারো সময় বাড়ানো হলো। বর্ধিত সময়ে অথ্যাৎ ২১ মার্চের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনের আগের দেয়া ৪,৭৯,৮১৫ নম্বর ক্রমিক পর্যন্তই হজযাত্রীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। নতুন করে আর ক্রমিক বাড়ানো হয়নি। এ দিকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছ।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তছলিম জানান, পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের গতকাল (১০ মার্চ) ছিল শেষ দিন। তিনি জানান, মূলত দু’টি কারণে নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর থেকে হজযাত্রীদের পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া, প্রতিটি হজ এজেন্সি সর্বনিম্ন ১০০ জন যাত্রী হজে পাঠাতে পারবে মর্মে সম্প্রতি সৌদি সরকার নীতিগত সম্মতি প্রদান করে। সম্মতি প্রদানের চিঠিটি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়। আবার ১০০ জন হলেই এককভাবে এজেন্সি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পাঠাতে পারবে সিদ্ধান্ত হলে অনেক এজেন্সি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাত্রী পাঠানোর সুযোগ পাবে। মূলত এ দু’টি কারণেই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বছর মোট হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮, তবে হজযাত্রীর কোটা ৬ হাজার ৮১৬। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বমোট কোটা ১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৬ এবং গাইড ও মোয়াল্লেমের কোটা ৩ হাজার ২৫৪ জন। এ বছর মোট ৪৭০টি এজেন্সি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পাঠাতে কার্যক্রম চালাচ্ছে।